Success Story: নিজের ৯০০০ কোটির কোম্পানি; সম্পদ ২৮ হাজার কোটির, তবু সাইকেলেই ঘোরেন এই ব্যবসায়ী!
‘শ্রীধর ভেম্বু’ (Sridhar Vembu) এই নামটি শোনেননি এমন কমজনই আছেন। শ্রীধর ভেম্বু ভারতের ব্যবসায়িক জগতে একটি বিখ্যাত নাম। তিনি জোহো কর্পোরেশন নামক একটি সংস্থা তৈরি করেছেন। বর্তমানে এই সংস্থাটি খুবই জনপ্রিয়। এই সংস্থার মোট মূল্য বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। তাঁর ব্যক্তিগত আর্থিক সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। এত বড় ব্যবসায়ী হওয়া সত্বেও অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করেন তিনি। কিন্তু এর কারণটা কি জানেন?
জোহো কর্পোরেশনের নেট মুনাফা ২৮০০ কোটি টাকা
এই জোহো কর্পোরেশন সারা বিশ্বের সব থেকে বড় সফটওয়্যার সংস্থা হিসাবেও পরিচিতি লাভ করছে। জোহো কর্পোরেশনের সিইও শ্রীধর ভেম্বু এর অধীনে বর্তমানে এই সংস্থা ২৮০০ কোটি টাকা নেট মুনাফা লাভ করেছে। ফোর্বসের তালিকা অনুসারে, ভারতের সর্বাধিক ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি ৫৫ নম্বরে আছেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও খুব সাধারণ জীবন যাপন করেন তিনি।
বর্তমানে তিনি থাঞ্জাভুর গ্রামেই থাকেন। এখনও যাতায়াতের জন্য সাইকেল ব্যবহার করেন। সম্প্রতি তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি পোস্ট করেন। তিনি একটি তিন চাকার বৈদ্যুতিন গাড়ি কিনেছেন সেই ছবিটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি পোস্ট করেন। কিন্তু তিনি এই ছবিটি পোস্ট করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়।
তামিলনাড়ুতে জন্ম হয়েছে শ্রীধর ভেম্বুর
শ্রীধর ভেম্বুর জন্ম তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর নামের একটি গ্রামে। তিনি আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামে ২৭ র্যাঙ্ক করেছিলেন। এরপর তিনি আইআইটি মাদ্রাজ থেকে পড়াশোনা করেন। তারপর প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তি হন। কোয়ালকম সংস্থায় ১৯৯৪ সালে তিনি কাজ করা শুরু করেন। তবে নিজের একটি ব্যবসা তৈরি করার জন্য সেই চাকরিটি ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
কখনও সংস্থা বিক্রি করেননি শ্রীধর ভেম্বু
বাজারে প্রচুর মন্দা দেখা দেওয়ার জন্য ২০০১ সালে অনেক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল এই সংস্থাকে। তাঁকে প্রচুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সংস্থাটি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি এই সংস্থাটি কোনো কিছুর বিনিময়তেই বিক্রি করেন নি। সেই সময় তিনি জোহো ডোমেইন সংস্থাটি কিনে ফেলেন।
২০০৯ সাল থেকে Zoho এর সঙ্গে AdventNet নামক সংস্থাটি জুড়ে যায়। করোনা কালীন সময়ে জোহো সংস্থাটি বিশাল মুনাফা অর্জন করে। সেই মুনাফার পরিমাণ ১৯১৮ কোটি অবধি পৌঁছায়। ২০২১ সালে এই সংস্থার নেট সম্পদের মূল্য ১ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়।