LPG Update 2025: আগামী ১০ মে, ২০২৫ থেকে চালু হতে চলেছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের একাধিক নতুন নিয়ম। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। আর এই নতুন নিয়মের মূল উদ্দেশ্যগুলি হল – নিরাপত্তা বাড়ানো, সচেতনতা বাড়ানো এবং পরিষেবার মানকে আরো ডিজিটাল করে তোরা। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, গ্যাস সিলিন্ডার সংক্রান্ত নিয়মে কী কী পরিবর্তন আসছে এবং আমাদের দৈনন্দিন বাজেটে কীভাবে প্রভাব পড়বে।
এখন সিলিন্ডারে থাকবে নিজস্ব আইডেন্টিটি (LPG Update 2025)
গ্যাস সিলিন্ডারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেকটি গ্যাস সিলিন্ডারে এবার থাকবে বারকোড, কিউআর কোড বা RFID ট্যাগ। এখন থেকে আপনি এবং গ্যাস ডিলার, দুজনেই এই কোড দেখতে পাবেন। আর এর মাধ্যমে জানতে পারবেন, সিলিন্ডারটি কতবার রিফিল হয়েছে, শেষ কবে রিফিল হয়েছিল এবং সিলিন্ডারটি নিরাপদ রয়েছে, নাকি মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে।
Read More: এই মাস থেকে বাড়বে বৃদ্ধ ভাতার টাকা! এখনই দুয়ারে সরকারে নতুন আবেদন ফর্ম জমা করুন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা হবে এখন আরও কঠোর
শুধু বাড়ির রান্নার গ্যাস নয়, বরং গ্যাসের ট্যাঙ্ক, বাল্ক ট্রান্সপোর্টেশন, এমনকি হাইড্রোজেনের মতো ভবিষ্যৎ জ্বালানীর পরিষেবা আসছে। হ্যাঁ, গ্যাস সংরক্ষণ এবং পরিবহনে নতুন সেফটি স্ট্যান্ডার্ড ফিচার চালু করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। আর এর ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।
ভর্তুকি পেতে হলে নিয়মগুলি অবশ্যই মানতে হবে
এখনও যারা রান্নার গ্যাসে সরকারিভাবে ভর্তুকি পান, তাদের জন্য সবথেকে বড় আপডেট (LPG Update 2025) হলো- ১৫ই মে, ২০২৫ থেকে অবশ্যই আধার কার্ড এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার লিঙ্ক করাতে হবে। হ্যাঁ, এলপিজি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এই দুটি ডকুমেন্ট লিঙ্ক না করালে ভর্তুকি বন্ধ হয়ে যাবে।
শুধু তাই নয়। জানা যাচ্ছে, যাদের বার্ষিক আয় ১০ লক্ষ টাকার বেশি, তাদেরকে এবার থেকে আর ভর্তুকি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি প্রত্যেক গ্রাহককে ২ বছরে একবার কেওয়াইসি জমা দিতে হবে। আর এই নতুন নিয়মগুলি চালু হচ্ছে, যাতে ভুয়ো দাবিদাররা বাদ পড়ে এবং যোগ্য দরিদ্র মানুষরাই প্রকল্পের সুবিধা পান।
গ্রামে বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ
একদিকে যেমন ভর্তুকির নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, অন্যদিকে গ্রাম ও দরিদ্র পরিবারের জন্য বিরাট সুখবর। সরকার চালু করছে এবার নয়া স্কিম।
জানা যাচ্ছে, যাদের এলপিজি কানেকশন নেই এবং যারা বিপিএল তালিকাভুক্ত ও উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় রয়েছেন, তারা এবার থেকে ফ্রী গ্যাস সিলিন্ডার পাবেন। আর এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। আর এর প্রধান লক্ষ্য একটাই- উনুন বা কাঠের ধোঁয়া থেকে মুক্তি দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিষেবার মানকে আর উন্নত করা।