Duplicate Hilsa: ইলিশ বলে বিক্রি করা হয়, কিন্তু এটি আদৌ ইলিশ নয়! কোন মাছ জানেন?
রাজ্যে বর্ষা ঢুকবে ঢুকবে করছে। তাই বাজার গুলিতেও ইলিশ মাছের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। দরদাম করে একটু কম পয়সায় সেই মাছ ঘরে নিয়ে এসে ভাবছেন বেশ কম দামে ইলিশ পাওয়া গেল!
আসলে বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। ইলিশ বলে আপনি যেই মাছটি বাড়ি আনছেন আসলে সেটি ইলিশ মাছই নয়। এটি আসলে চন্দনা মাছ। এই চন্দনা মাছটি কলম্বো কিংবা ডটেড গিজার্ড শাড, চকোরি, সার্ডিন ইত্যাদি নামেও বিভিন্ন জায়গায় পরিচিত। এবার ইলিশ আনছেন না চন্দনা সেটি চিনে নিতে হবে আপনাকেই।
দুর্গা পুজো হোক কিংবা পয়লা বৈশাখ বা সরস্বতী পুজো। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মতো ইলিশের চাহিদাও থাকে সারা বছর। এরূপ উৎসবের সময় ইলিশের দামও কিন্তু থাকে মারাত্মক। এই ইলিশ কিনতে অনেকেরই কিন্তু পকেটে টান পড়ে।
কিন্তু যখন এই ইলিশের যোগান কম থাকে তখনই বাজারে প্রবেশ করে অবিকল ইলিশের মতো দেখতে চন্দনা মাছ। দামে খুব একটা তফাৎ থাকে না ইলিশ এবং চন্দনার মধ্যে। বেশি দাম কমালে খদ্দেররা যদি বুঝে যান এটি নকল তাহলে বিক্রেতারা খুব মুশকিলে পড়বেন। তাই বিক্রেতারা খুব একটা দাম কমাতে চান না। স্বাদে এবং গুণে ইলিশের ধারে কাছে না এলেও এই ইলিশ ওরফে চন্দনা মাছকেই ইলিশের রেসিপি দিয়ে রান্না করে রবিবারের লাঞ্চ সারছেন অনেকেই।
ইলিশ এবং এই চন্দনার মধ্যে তফাৎ হল এই চন্দনা মাছের পিঠের রং ইলিশের মতো কালো নয়। ইলিশের মতো চ্যাপ্টাও নয়। ইলিশের থেকে চোখ প্রায় অনেকটাই বড়। কিন্তু দেখতে এবং গন্ধ অনেকটা ইলিশের মতো হওয়াতেই মানুষজন বোকা বনে যাচ্ছেন।
পুরো পশ্চিমবঙ্গের বাজারে তো বটেই বাংলাদেশের ঢাকার বাজারে এছাড়াও বাংলাদেশের চাঁদপুরের বড়বাজারে ইলিশের নামে এই চন্দনা মাছ রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে। তাই বাজারে গিয়ে এই নকল ইলিশ মাছ থেকে সাবধান থাকাই উচিত।