End of the World: পৃথিবীর শেষ সীমা এখানেই! এই শেষ শহরের নাম জানেন? আরর কী কী আছে সেখানে? জানলে বিস্মিত হবেন!
![where is the End of the World Do you know the name of the last city What else is there where is the End of the World Do you know the name of the last city What else is there](/wp-content/uploads/2024/05/where-is-the-End-of-the-World-Do-you-know-the-name-of-the-last-city-What-else-is-there.jpg)
আমরা সকলেই জানি পৃথিবীর আকৃতি অনেকটা গোলাকার মতন। তবে এই গোলাকার পৃথিবীরও একটি শেষ প্রান্ত রয়েছে। আর এই প্রান্ত একটি শহরে গিয়ে শেষ হয়েছে। ভূ-বিজ্ঞানীরা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেই স্থানটি খুঁজে পেয়েছেন। জানেন কী কোথায় পৃথিবীর সেই শেষ সীমা।
অনেকেই মনে করেন পৃথিবী যেহেতু গোলাকার তাই এর শেষ প্রান্ত বলে কিছুই নেই। কিন্তু ভূ-বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর শেষ সীমানা চিহ্নিত করেছেন। তবে কোথায় সেই শেষ স্থান এই নিয়ে একাধিক জনের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
একদল বিজ্ঞানী দাবি করেন ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্স বা রাশিয়ার সাইবেরীয় অঞ্চলের ইয়ামান পেনিনসুলা বা চিলির কেপহর্ন হলো পৃথিবীর শেষ সীমা। কিন্তু এই শহরগুলিকে মূলত পৃথিবীর শেষ সীমা না বলে আরো কিছু বিজ্ঞানী পৃথিবীর সীমানা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
পৃথিবীর শেষ সীমা রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে। দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনার উশুইয়াই শহরকেই পৃথিবীর শেষ শহর বলা হয়। আর ওই দেশের ভাষায় ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্ত’- Fin Del mundo বলে।
এই শহরের চারিদিকে রয়েছে সমুদ্র ও দুর্গম পাহাড়। ওই দেশের সরকার ১৮৭৩ সাল থেকে সংশ্লিষ্ট দেশের রাজনৈতিক বন্দীদের নির্বাসন দিয়ে আসছেন তবে এই কাজ বন্ধ হয়ে যায় হাজার ১৯৪৭ সালে। এখন ওই স্থানটি ঐতিহাসিক মিউজিয়াম অবস্থায় রয়েছে।
বর্তমানে এই অঞ্চলটির নাম হল ‘টিয়েরা দেল ফুয়েগো’ বা আগুনের শহর। এ অবস্থান আন্দিজ পাহাড়ের মাঝে। উত্তরে ম্যাজেনাল প্রণালী ও দক্ষিণে বীগল চ্যানেল দুই মহাসাগরকে যুক্ত করেছে আর এই মাঝে রয়েছে ওই স্থানটি। বিখ্যাত পর্তুগিজ আবিষ্কারক ম্যাজেনাল ওই স্থানটি প্রথম আবিষ্কার করেন এবং নাম দেন ‘টিয়েরা দেল ফুয়েগো’।
পৃথিবীর শেষ সীমা যে স্থানে রয়েছে অর্থাৎ উশুইয়াই শহরটিতে জনসংখ্যা খুব একটা নেই। এর আয়তন হলো ২৩ বর্গ কিমি। বর্তমানে এই শহরে মোট ৫৭ হাজার জনসংখ্যা রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা কখনো ১২ ডিগ্রী আবার কখনো ২০ ডিগ্রি হয়ে থাকে।
এই শহরের আশেপাশে পাহাড় রয়েছে বর্তমানে এখন ইউরোপীয়রা এই দেশে বসবাস শুরু করেছে। আগের দিনের পৃথিবীর এই শেষ প্রান্তে যেতে সময় লাগত প্রায় দুবছর কিন্তু আমেরিকা থেকে মাত্র দুদিনেই এই শহরে পৌঁছানো যায়।