Career Opportunities After 12th: কেরিয়ারে সাফল্য চান? উচ্চ মাধ্যমিকের পর এই অপশনগুলির কথা ভাবতে পারেন
![5 Career Opportunities After 12th 5 Career Opportunities After 12th](/wp-content/uploads/2024/05/5-Career-Opportunities-After-12th.jpg)
উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary) স্টুডেন্ট লাইফের একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড় (Turning point) । এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার পরেই ছাত্র-ছাত্রীরা নামে জীবন গঠনের আসল ক্ষেত্রে-শুরু হয় ছাত্র জীবনের এক নতুন অধ্যায় , আরো এক নতুন লড়াই। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে সমস্যাটি দেখা দেয়-ছাত্রছাত্রীরা সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না যে এরপর ঠিক কোন রাস্তায় তাদের এগোনো উচিত। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও এই ব্যাপারটি নিয়ে যথেষ্ট দ্বিধায় থাকেন ।
অনেক সময় আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধবদের নানারকম পরামর্শ মনে অনেক রকম দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। এত পরামর্শের ভিড়ে “আমি নিজে কি চাই” সেটাই আর আবিষ্কার করা হয়ে ওঠেনা ছাত্র-ছাত্রীদের। এমনও দেখা গেছে যে ,অন্যের পরামর্শে কোন একটি বিশেষ ডিগ্রী কোর্সে (Degree course) ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা উপলব্ধি করে যে , সেই কোর্সটি তার পছন্দের নয় অথবা সেই কোর্স থেকে চাকরির বিশেষ কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। কিন্তু পরিবারের চাপে তারা বাধ্য হয় কোর্সটিতে শেষ অবধি থেকে যেতে। ফলস্বরূপ অনেক ছাত্র-ছাত্রী অবসাদের (Depression) শিকার হয়।
তাই ক্যারিয়ার (career) গঠনের জন্য আমাদের এমন কোর্স বাছাই করা উচিত যাতে আমাদের প্যাশন (Passion) আছে এবং একই সাথে চাকরি-বাকরি সুযোগও অবাধ। সেটা হতে পারে কোন ট্র্যাডিশনাল কোর্স (Traditional course) অথবা তার বাইরে গিয়ে আরো নতুন কিছু । এছাড়া অনেক সময় অনার্স (Honours) বা ডিগ্রী কোর্সের পাশাপাশি কিছু নতুন বিষয় শিখে রাখলে ভবিষ্যতে ভালো চাকরি পেতে সুবিধা হয়। আজকের প্রতিবেদনে তেমনি কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
নার্সিং (Nursing):
বর্তমানে নার্সিং (Nursing) হল একটি খুব ভালো কোর্স।জনসংখ্যা বাড়ছে এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে তৈরি হচ্ছে অনেক নতুন হাসপাতাল (Hospital)। ফলে নার্সিং স্টাফের (Nursing staff) চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। এছাড়া নার্সিং পড়ে রয়েছে বিদেশে যাবার সুযোগ। পৃথিবীর যে সমস্ত দেশে জনসংখ্যা কম, সেখানকার হাসপাতালগুলিতে নার্সিং স্টাফ হিসেবে বাইরের দেশ থেকে নার্স নেওয়া হয় । তাই কেরিয়ার অপশন (Career option) হিসেবে নার্সিং খুব ভালো সুযোগ।
আর্কিটেকচার (Architecture):
আর্কিটেকচার (Architecture) একটি ক্রিয়েটিভ(creative) কোর্স। কোর্সটিতে যেমন চাকরি সুযোগ আছে, তেমনি এই কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য প্যাশন (passion) থাকা খুবই জরুরী। সৌখিনতা ব্যাপারটি চিরকালই মানুষের খুব পছন্দের। যত দিন যাচ্ছে মানুষ সৌখিনতা তত বাড়ছে । নানা রকম ভাস্কর্য, বিল্ডিং ইত্যাদি তৈরির ক্ষেত্রেও সেই সৌখিনতার ছাপ স্পষ্ট । তাই মন যদি সবসময় নতুন কিছু বানানোর সন্ধানে ছুটছে , তাহলে আর্কিটেকচার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপযুক্ত একটি কোর্স।
ফ্যাশন ডিজাইনিং (Fashion Designing):
যতদিন যাচ্ছে আমাদের পোশাকের সৌখিনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রকমারি ডিজাইনের এবং রকমারি রংয়ের পোশাক এখন বেশ ট্রেন্ডিং। যদি ছাত্রছাত্রীরা পোশাকের নতুন নতুন ডিজাইন (Design) বানানোর ক্ষেত্রে আগ্রহী হয়ে থাকে, তাহলে ফ্যাশন ডিজাইনিং (Fashion Design) একটা ভালো অপশন (option)। এ ছাড়া এই কোর্সে বর্তমানে চাকরির সুযোগও অনেক।
অ্যানিমেশন (Animation):
ছেলে মেয়ের যদি কার্টুন আঁকা (cartoon drawing) , ভিডিও এডিটিং (video editing) ইত্যাদি বিষয়ে ঝোঁক থাকে , তবে অ্যানিমেশন একটা চমৎকার কেরিয়ার অপশন। বর্তমান বাজারে এর চাহিদাও বাড়ছে। তাই এনিমেশন নিয়ে পড়ার পর চাকরি সুযোগও আছে অনেক।
আয়ুর্বেদ (Ayurveda):
শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রতিদিনের রুটিনে প্রাকৃতিক উপাদান (Natural ingredients) রাখা বরাবরই মানুষের খুব পছন্দের। বর্তমানে সেই ঝোঁক আরো বাড়ছে। রাসায়নিক উপাদান সহযোগে তৈরি জিনিসের পরিবর্তে ভেষজ উপাদান সহযোগে তৈরি জিনিসকেই মানুষ বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা একটা ভালো সুযোগ হতে পারে ছাত্রছাত্রীদের জন্য। ভবিষ্যতে গবেষণা (phd) করার ইচ্ছা থাকলে অথবা কেমিস্ট্রি (Chemistry) , বায়োলজির (Biology) মতো বিষয়ে আগ্রহ থাকলে আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা একটা ভালো কেরিয়ার অপশন।