B.ed VS D.EL.Ed: বিএড করা শিক্ষকদেরকে নিয়ে কি জানালো সুপ্রিম কোর্ট? যা সমগ্র দেশে প্রযোজ্য

আমাদের WhatsApp Group-এ যুক্ত হন👉 Join Now

B.ed VS D.EL.Ed Supreme Court Judgement: প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের জন্য B.ED ডিগ্রী কোর্সে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা যোগ্য কিনা সেই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের রায় অনুসারে, প্রাথমিক শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের D.EL.ED কোর্স থাকা বাধ্যতামূলক।

E. ED উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, “আমরা মনে করি যে ১১.০৮.২০২৩ তারিখে এই বেঞ্চের দেওয়া রায় কার্যকর হবে তবে শুধুমাত্র সেই প্রার্থীরা যারা কোনো আদালত দ্বারা আরোপিত শর্ত ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন এবং নিয়মিত নিয়োগে ছিল… যেখানে  একটি যোগ্যতা হিসাবে বিএড ছিল, এই রায়ের কারণে তাদের চাকরি বিঘ্নিত হবে না।”

ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme Court) ২০২৩ সালের একটি রায়ের পর্যালোচনার স্পষ্টীকরণের আবেদন করা হয়। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং সুধাংশু ধুলিয়ারের বেঞ্চ মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের করা মামলার স্পষ্টীকরণের আবেদনের শুনানি ছিল এইদিন।

উক্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে বলা হয়, “B.Ed. আবেদনকারীরা দাবি করছেন যে তারা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রণীত যোগ্যতার মানদণ্ড অনুসারে তাদের চাকরিতে প্রবেশ করেছেন, …তাই তাদের চাকরি থাকা উচিত।”

আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ! বিস্তারিত জেনে নিন

আমাদের WhatsApp Group-এ যুক্ত হন👉 Join Now

উক্ত আবেদনের বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিচারপতি বলেন, “স্পষ্টীকরণের জন্য এই ধরনের আবেদনগুলিকে গ্রহণ করা উচিত নয়৷ একটি চূড়ান্ত আদেশ গৃহীত হওয়ার পরে, আদেশের পরিবর্তন চাওয়ার একমাত্র অবলম্বন হল একটি পিটিশন। কিন্তু এই আবেদনে স্পষ্টীকরণের আবেদনের কথা বিবেচনা করে, আমরা এটিকে পর্যালোচনার আবেদন হিসাবে বিবেচনা করি।”

সিনিয়ার অ্যাডভোকেট বিকাশ সিং এর করা এই স্পষ্টিকরণের অনুরোধে, উক্ত বেঞ্চের তরফ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয় যে, এই আদেশটি কেবলমাত্র মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের জন্য প্রযোজ্য নয়, সমগ্র দেশের জন্য কার্যকর হবে।

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ২০২৩ সালে রাজস্থান হাইকোর্টের একটি সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করে এবং বলে যে, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কেবলমাত্র ‘বিনামূল্য‘ এবং ‘বাধ্যতামূলক‘ শিক্ষার অধিকারই নয় বরং ‘মানের‘ শিক্ষারও অধিকার প্রদান করতে হবে। সুতরাং B.Ed. কোর্সে উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক শিক্ষাগত সীমা অতিক্রমে যথার্থ নয়। ঠিক তেমনি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশুদের ‘মানসম্মত‘ শিক্ষা প্রদানে তারা যোগ্য নয়।

পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই রায়ের ব্যাখ্যা চেয়ে আবেদন দায়ের করা হয়। পরবর্তী শুনানিতে, আদালতের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে কোন ব্রিজ কোর্স বর্তমানে চালু রয়েছে কিনা যার মাধ্যমে B. ED উত্তীর্ণ প্রার্থীরা, যারা ২০২৩ সালের আগে শিক্ষক পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন তাদের নিজেদের প্রশিক্ষণ নিয়ে D.El.Ed (ডিপ্লোমা ইন এলিমেটারি এডুকেশন) প্রার্থীদের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারেন।

আজ সিনিয়র অ্যাডভোকেট Kapil Sibal, D.El.Ed কোর্স উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য অনুরোধ করেন যে, যে সকল শূন্যপদ রয়েছে তাতে যদি বিএড উত্তীর্ণদের সুবিধা প্রদান করা হয় তবে যোগ্য D.El.Ed প্রার্থীরা সেইভসুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।

অন্য পক্ষের সিনিয়র অ্যাডভোকেট গোপাল শঙ্করনারায়ণন আদালতে বলেন, কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এমন কোনও ব্রিজ কোর্স চালু নেই।

Sibal বলেন, উক্ত বিষয়টি শেষ অবধি বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক ব্যাচে শোনার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।

আইনজীবী বলেন সমগ্র বিষয়টি শোনার পর বেঞ্চ তাঁর নির্দেশ জানায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয় “you will be saved if, when you are selected and subsequently you are appointed, B.Ed. was one of the qualifications…second, if there is no such thing as ‘subject to this order, subject to that order’…”.

গুরুত্বপূর্ণ লিংক

WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হনযুক্ত হন