বিদ্যুৎ বিলের আর নো টেনশন! AC চালানোর এই নিয়ম জানলেই কেল্লাফতে
কিছুদিন স্বস্তির নিঃশ্বাস পেলেও আবার সেই তীব্র গরম। তাপমাত্রা আরও হয়তো বাড়তে পারে। এই গরমে প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে এসি চলছে। ঠান্ডা ঘরে শুয়ে ঘুম হয়তো আসছে কিন্তু মাথায় আর এক চিন্তা। শুধু এসি চালালেই তো হবে না এসির বিলের টাকাটাও তো দিতে হবে ফলে পকেটে টানও পড়তে থাকবে। কিন্তু এই গরমে এসি বন্ধ করে রাখারও উপায় নেই।
কিন্তু কিছু নিয়ম মানলেই দেখবেন আপনার বিদ্যুতের বিলের খরচ অনেকটা কমে আসছে। আসুন তাহলে জেনে নেই কি উপায়ে এসি চালালেও বিদ্যুতের বিল কম আসবে।
২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যেই এসির তাপমাত্রা রাখলে আপনার ঘরও ঠান্ডা থাকবে এদিকে বিদ্যুতের বিলও কম আসবে। ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রির কমে এসি চালালেই কিন্তু বিদ্যুতের বিল বেশি আসার সম্ভাবনা থাকে।
এসি চালানোর পর দেখবেন যেন ঘরের কোনো জানলা-দরজা খোলা না থাকে। এসি ঘর থেকে বারবার ঢোকা এবং বেরোনো চলবে না এতে তাপমাত্রা উঠানামা করতে থাকে ফলে এসির ওপর প্রচুর চাপ পড়ে।এর ফলে বিদ্যুতের বিল বেশি এসে যায় অনেক সময় ।
অনেকেই ভাবেন যে একবার এসিটাকে একটু চালিয়ে নিয়ে ঘর ঠান্ডা করে নি আবার পরে চালানো যাবে। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা কারণ তাতে ঘর ঠান্ডা ঠিক মত হয়ই না, উল্টে ঘনঘন এসি এই অফ-অন করার ফলে বিদ্যুত বেশি পুড়তে থাকে ফলে বিদ্যুতের বিলও বেশি আসে।
এসি কিছুক্ষন চালানোর পর ঘরটা ঠান্ডা হয়ে গেলে আপনি ফ্যান চালিয়েও রাখতে পারেন এতে ঘর ঠান্ডা থাকে। এসি অফ করার সাথে সাথে এর মেইন সুইচ অফ করে দেওয়া উচিত নয়তো এসি নষ্ট হয়ে যাওয়ার একটা ঝুঁকি থেকে যায়।
নির্দিষ্ট কিছু সময় অন্তর অন্তর এসি সার্ভিসিং করানো উচিত। সার্ভিসিং না করালে বোঝা যাবে না এসির ভেতরে কিছু খারাপ হয়েছে কিনা। এছাড়াও এসি নোংরা হয়ে গেলেও বিদ্যুতের বিল অতিরিক্ত আসতে পারে।