PM Surya Ghar Prakalpa: বিনামূল্যে সৌর বিদ্যুৎ-এর জন্য আবেদন করবেন কী ভাবে? রইলো পদ্ধতি
কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government)তরফ থেকে এইবার বিনামূল্যে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম হল প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর প্রকল্প (PM Surya Ghar Prakalpa)। এই প্রকল্পের জন্য ৭৫,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। সাধারণ শ্রেণীর মানুষ যারা রয়েছেন এইবার থেকে তাদের বিদ্যুৎ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের বাড়ির ছাদে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিল কমাতে সহায়তা সাহায্য করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প চালু হলে এতে যে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে তা নয়, বরং এই প্রকল্প চালু হলে পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
গত শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে (X) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জানিয়েছেন এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে আর ১ কোটি মানুষ এর জন্য আবেদনও করে ফেলেছেন। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, আসাম, বিহার, এবং উত্তর প্রদেশ থেকে প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ আবেদন করেছেন। আর যারা এখনও পর্যন্ত আবেদন জানাননি তাদের এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য আহ্বান জানান হয়েছে।
প্রকল্পের সুবিধা
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল বসানো হবে। এতে থেকে প্রতি মাসে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। যা বার্ষিক ১৫,০০০ টাকা থেকে ১৮,০০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করবে। এছাড়াও যাদের গ্রামের দিকে বাড়ি রয়েছে তারা নিজেদের বাড়ির ছাদে চার্জিং স্টেশন স্থাপন করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। বিশেষত করে যাদের বাড়িতে বৈদ্যুতিক দুই-তিন চাকার গাড়ি রয়েছে, এই প্রকল্প তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা উপযোগী হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: ২০,০০০ টাকা করে প্রতি মাসে আজীবন পাবেন! পোস্ট অফিসের এই স্কিম জেনে নিন
প্রকল্পে আবেদনের শর্ত
কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে এর কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। ছাদে যেসব সোলার প্যানেলগুলি স্থাপন করা হবে সেগুলি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের অধীনে তৈরি করতে হবে। ছাদের উপরে যে প্যানেল বসানোর কাজ হবে তা সরকার স্বীকৃত বিক্রেতাদের দিয়েই করাতে হবে। ভর্তুকির জন্য ব্যাটারি স্টোরে জ গ্রহণযোগ্য নয়। তিন কিলোওয়াট ক্ষমতা ধারণ করতে পারবে এমন ছাদে সৌর প্ল্যান্ট বসানো হবে।
দুই কিলোওয়াট ভর্তুকির জন্য ৬০ শতাংশ। দুই থেকে তিন কিলোওয়াট ক্ষমতার জন্য ৪০ শতাংশ। এইগুলো সর্বনিম্ন ভর্তুকির মধ্যে পড়ছে।
সর্বোচ্চ ভর্তুকির মধ্যে পড়ছে এক কিলোওয়াট ক্ষমতার জন্য ৩০,০০০ টাকা। দুই কিলোওয়াট ক্ষমতার জন্য ৬০,০০০ টাকা। তিন কিলোওয়াট বা তার বেশি ক্ষমতার জন্য ৭৮,০০০ টাকা।
সরকারি কর্মকর্তারা আপনার ছাদে প্যানেল বসানোর পর যাচাই করন করে গেলে আপনার ভর্তুকির টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
ব্যবহারকারীদের টাকা দিতে হবে কিনা
আপনি যদি এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করেন তাহলে মোট খরচের থেকে কম করে ৪০ শতাংশ দিতে হবে। সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের সোলার প্ল্যান্ট বসানোর কাজগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎ সংস্থাগুলিকে দেওয়া হবে।
তবে যারা প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারবে না তাদের জন্য এটি করা হবে। প্রাথমিক বিনিয়োগের জন্য ঋণ গ্রহণের ব্যবস্থাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: Post Office Scheme: ৪ লক্ষ টাকা পাবেন এই সরকারি প্রকল্পে, পদ্ধতি জেনে নিন
ছাদ সিস্টেমের ওপর কত টাকা খরচ হবে ?
আপনার ছাদ সিস্টেমের উপর কত টাকা খরচ পড়বে তা অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন সোলার প্যানেল, তার ক্ষমতা সেটি কোন কোম্পানির এবং তার দক্ষতা কিরূপ। হিসেব অনুযায়ী ধরা যাক আপনি যদি এক কিলোওয়াট ক্ষমতার একটি রুফটপ সোলার প্ল্যান্ট বসাতে চান তাহলে তার জন্য ৭২,০০০ টাকা বা তার বেশি এবং তিন কিলোওয়াটের জন্য ১.৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশি খরচ হতে পারে।
এই প্রকল্পে কীভাবে আবেদন করবেন?
এই প্রকল্পে আবেদন করতে হবে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে-
১) আবেদনের জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২) সেখান থেকে আপনার রাজ্য নির্বাচন করার পর বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি নির্বাচন করতে হবে।
৩) এরপর আপনার বিদ্যুৎ গ্রাহক নম্বর, মোবাইল নম্বর ও ইমেল নম্বর লিখতে হবে।
৪) তারপর এটি ভোক্তা নম্বর এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে লগইন করতে হবে।
৫) এতে একটি ফর্ম প্রদর্শিত হবে সেই ফার্মটি নিজের উপযুক্ত তথ্য দ্বারা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
৬) ফর্মাটি সঠিকভাবে পূরণ হয়ে গেলে DISCOM থেকে অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদি একবার অনুমোদন পেয়ে যান তাহলে আপনার ডিসকম-এ নিবন্ধিত বিক্রেতাদের দ্বারা প্ল্যান্টটি ইনস্টল করে নিন।
৭) ইনস্টলেশন শেষ প্ল্যান্টের বিশদ বিবরণ জমা করে নেট মিটারের জন্য আবেদন করতে হবে।
৮) DISCOM নেট মিটার স্থাপন এবং পরিদর্শনের হয়ে গেলে পোর্টাল থেকে কমিশনিং শংসাপত্র তৈরি করা হবে।
৯) যদি আপনি একবার কমিশনিং রিপোর্ট পেয়ে যান তাহলে পোর্টালের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ এবং একটি বাতিল চেক জমা করতে হবে।
১০) এরপরে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার ব্যাংক একাউন্টে সরকার ভর্তুকি পাঠাবে।