SSC মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবমাননা! ২৬০০০ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কী? জেনে নিন
![SSC case contempt of the Supreme Court future of 26000 teachers SSC case contempt of the Supreme Court future of 26000 teachers](/wp-content/uploads/2024/06/SSC-case-contempt-of-the-Supreme-Court-future-of-26000-teachers.jpg)
কিছুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এর ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসি (SSC) শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিলের ঘোষণা করেছিল। এর ফলে প্রায় ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকদের কয়েকটি মঞ্চ। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট উচ্চ আদালতের নির্দেশের উপর ভিত্তি করে ১৬ ই জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কিন্তু স্থগিতাদেশ দিলেও শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিজেদের কাজে যোগ দেওয়ার আগে মুচলেকা জমা করতে বলা হয়েছে।
প্রায় দেড় মাস গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর ৩ রা জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়গুলি খুলেছে। ২০১৬ এসএসসি প্যানেল বাতিল হওয়ার সময় বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারাও কাজে যোগ দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি বহাল থাকবে। বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যার বিরুদ্ধে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ প্রমাণিত হবে শুধুমাত্র তারই চাকরি যাবে। এর সাথে তাকে এতদিন ধরে পাওয়া সমস্ত বেতন ফেরত দিতে হবে এবং তাকে বেতন সংক্রান্ত মুচলেকাও জমা দিতে হবে।
কিন্তু এই মুচলেকা কার কাছে জমা দিতে হবে?
শিক্ষক শিক্ষিকারা অভিযোগ করছেন এখনও পর্যন্ত মুচলেকা কোথায় জমা দিতে হবে সেই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। এইজন্য তারা আশঙ্কা করছেন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ না মানলে শেষমেষ তাদেরকে আদালত অবমাননার দায় যদি শাস্তি পেতে হয়।
এক জেলা আধিকারিক এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মুচলেকা জমা দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি সুপ্রিমকোর্টের রায়ের বিষয়টিও তাদের ঠিকমত জানানো হয়নি। তাদেরকে একবার নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথেই তারা আদালতের কথা মতো কাজ করবেন।