Covid: ফের বেড়ে চলেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা, করোনার নতুন ঢেউ কি ভারতেও আসছে?
করোনা ভাইরাসের মহামারী আমরা সকলেই দেখেছি। চারিদিকে লকডাউন, মৃত্যুর হাহাকার, হসপিটালে বেড নেই এই সমস্ত কিছু দেখতে দেখতেই কেটে গেছিল ২০২০ সাল। ২০২০ সালের শেষের দিকে লকডাউন উঠে গেলেও ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে আবারও করোনা নতুন করে থাবা বসিয়েছিল। তারপর দুটো বছর পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিকভাবেই চলেছে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতামত করোনা ভাইরাসের নতুন ঢেউ ফের আছড়ে পড়ছে। সিঙ্গাপুর, আমেরিকা প্রভৃতি দেশ গুলিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্যই আবার নতুন করে মানুষে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট FLiRT এর KP.1.1 এবং KP.2 এই দুটি স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়ার ফলেই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, এমনটাই CDC এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশন ঘটার ফলেই এই ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং একজনের থেকে আরেকজন আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।
করোনার নতুন ঢেউ:
এই ভাইরাসের মিউটেশন হওয়ার ফলেই এটি নতুন ভাবে বারবার ফিরে ফিরে আসছে। তবে মহামারী বিশেষজ্ঞ ডাঃ যুগল কিশোরের মতে, এখনই বেশি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি। তাঁর মতে, করোনার এই ভ্যারিয়েন্টটি ওমিক্রনের একটি সাব ভ্যারিয়েন্ট। তবে এই ভ্যারিয়েন্টের ফলে বেশি উপসর্গ দেখা যাবে না। ফলে এটি বিশাল আকার ধারণ করবে না, এমনটাই গবেষণায় জানা যাচ্ছে।
ভারতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?
এই নতুন FLiRT ভ্যারিয়েন্টের ২০০টির বেশি কেস ভারতেও দেখা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই ৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মহামারী বিশেষজ্ঞ ডাঃ যুগল কিশোরের মতে, করোনার নতুন ঢেউ ভারতে মহামারীর আকার ধারণ করবে না। করোনায় আক্রান্ত হলেও সেই সংখ্যাটা হবে সামান্যই। উপসর্গও বেশি কিছু থাকবে না। তবে সাধারণ মানুষকে করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে ছোটদের এবং বয়স্কদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে। সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদির লক্ষণ দেখা দিলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কোভিড টেস্ট করে নেওয়া জরুরি।